1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

হারের পথে বাংলাদেশ

  • Update Time : শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৭১ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের সামনে লক্ষ্য ২৫৭ রানের। ব্যাটিং শক্তিতে বলীয়ান দলটিকে এই লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে হারের পথে আছে টাইগাররা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫.৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৭ রান। বিরাট কোহলি ৬৭ আর লোকেশ রাহুল ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশ প্রথম উইকেটে ৯৩ রান তুলেছিল। ভারত ওপেনিং জুটিতে তুললো ৮৮ রান। অবশেষে শুভমান গিল আর রোহিত শর্মার ভয়ংকর হয়ে উঠা এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ।

হাসানকে ডিপ স্কয়ার লেগে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়েছেন রোহিত (৪০ বলে ৪৮)। মাত্র ২ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেননি রোহিত। তবে অপর ওপেনার গিল ঠিকই ফিফটি ছুঁয়েছেন।

যদিও ফিফটির পরপরই গিলকে আউট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন দারুণ এক ক্যাচ। ৫৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ৫টি চার আর ২টি ছক্কা হাঁকান গিল। ১৩২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।

শ্রেয়াস আয়ার সেট হয়ে আউট হয়েছেন। মিরাজের বলে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৫ বলে করেন ১৯ রান। ১৭৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর বিরাট কোহলির ব্যাটে সহজ জয়ের পথেই আছে ভারত।

এর আগে মাহমুদউল্লাহর শেষের ঝড়ে ভর করে ৮ উইকেটে ২৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ যখন ক্রিজে এসেছিলেন, ১৭৯ রানে ৫ উইকেট নেই টাইগারদের। সেখান থেকে দেখেশুনে এগোলেন। শেষের দিকে তো ব্যাট হাতে ঝড়ই তুললেন রিয়াদ।

৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে হাঁকালেন তিনটি করে চার-ছক্কা। মাহমুদউল্লাহর এই শেষের চেষ্টা আর তানজিদ তামিম আর লিটন দাসের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ভারতের বিপক্ষে আড়াইশোর্ধ্ব পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। বাংলাদেশ কেমন করবে এমন একটা শঙ্কা ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। এমন যখন পরিস্থিতি, তখন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

পুনেতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৩ রান তুলে ফেলেন ছোট তামিম এবং লিটন দাস। ১০ম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুটি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি মারেন তানজিদ তামিম।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম অবদান রেখেছিলেন তানজিদ তামিম। দারুণ সম্ভাবনাময়ী ব্যাটার। কিন্তু জাতীয় দলে জায়গায় পাওয়ার পর কেন যেন নিজেকে মেলেই ধরতে পারছিলেন না। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।

এরপর আরও ৭ ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়েছিলো তাকে; কিন্তু খোলস ছেড়ে বের হতেই পারছিলেন না তিনি। সর্বোচ্চ রান ১৬। এমন পরিস্থিতিতে তানজিদ তামিমকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপে মেহেদী হাসান মিরাজকে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলানোর দাবিও উঠেছিলো জোরালোভাবে।

কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপরই আস্থা রাখছিলো। শেষ পর্যন্ত সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ভারতের বিপক্ষে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় তোলেন তানজিদ হাসান তামিম।

ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ৪১ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। তবে ঝোড়ো ফিফটি করার পর কুলদিপ যাদবের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৪৩ বলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।

এরপর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি শান্ত। ১৭ বলে ৮ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ আউটে ফেরেন তিনি।

প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থ। ১৩ বলে ৩ রান করে তিনি মোহাম্মদ সিরাজের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে বসেন। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ১২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর লিটন দাস ফিফটি করে সাজঘরে ফেরেন। জাদেজাকে লংঅফে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন। ৮২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৬৬ রান। ১৩৭ রান তুলতে হারায় ৪ উইকেট।

সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৮ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। যদিও এই জুটিতে মূল অবদান মুশফিকেরই। হৃদয় ভীষণ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন।

মন্থর ব্যাটিং করে যখন সেট হলেন, তখনই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন হৃদয়। ৩৫ বলে ১৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের শিকার হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে। বুমরাহর বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাজপাখির মতো এক ক্যাচ নেন জাদেজা। ৪৬ বলে মুশফিকের ৩৮ রানের ইনিংসটিতে ছিল একটি করে চার-ছক্কার মার।

নাসুম আহমেদ ১৮ বলে ১৪ করে শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহকে ভালো সঙ্গ দেন। আর ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান শরিফুল ইসলাম (৩ বলে ৭)।

ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ আর রবীন্দ্র জাদেজা নেন দুটি করে উইকেট।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..